এফ,আর শুভ
জিম্মি জয়ের মায়ের আর্তি
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করেছে জলদস্যুরা। জিম্মিদের মধ্যে আছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সালাইনগর গ্রামের মো. জয় মাহমুদ। জিয়াউর রহমানের ছেলে জয় জাহাজের একজন ক্রু। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মা-বাবার সঙ্গে জয় সর্বশেষ কথা বলেন।
জয়ের চাচাতো ভাই মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জয়ের মা-বাবা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন। পরে আমিও তার সাথে কথা বলি। জয় জলদস্যুর কবলে পড়েছে বলে আমাকে জানায় এবং বিষয়টি কাকা-কাকির কাছে গোপন রাখতে বলে। সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে জয় হোয়াটসঅ্যাপে জানায়, তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এরপর আর কথা বলা যায়নি।
সন্ধ্যার পরে গণমাধ্যমে খবর প্রচার হলে এলাকাবাসী জলদস্যুর হাতে জয়ের জিম্মি হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। খবর প্রচারের পর জয়ের বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে। মারুফ হোসেন জানান, ছেলের অমঙ্গলের আশঙ্কায় রাত থেকে একটানা কেঁদেই চলেছেন জয়ের মা আরিফা বেগম।
তিনি বলেন, ‘জয়ের জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি শেষ খবর জানার জন্য।’
জয় মাহমুদরা দুই ভাই-বোন। জয় বড়। ২০২১ সালে তিনি জাহাজে চাকরি নেন। এরপর প্রশিক্ষণ শেষে চার মাস ছুটি কাটিয়ে জাহাজে ফেরেন।
জয়ের মা আরিফা বেগম বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরা যেন সহিসালামতে থাকে। তাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও মাবুদ।’
জয় মাহমুদের বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলেসহ জিম্মি হওয়া সবাইকে দ্রুত উদ্ধার করা হোক, সরকারের কাছে এটাই আমার আবেদন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবরে এলাকার মানুষ অজানা আশঙ্কায় সময় কাটাচ্ছেন। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই, আটকা পড়াদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয়।
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক ও ক্রুকে জিম্মি করেছে জলদস্যুরা। জিম্মিদের মধ্যে আছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের সালাইনগর গ্রামের মো. জয় মাহমুদ। জিয়াউর রহমানের ছেলে জয় জাহাজের একজন ক্রু। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মা-বাবার সঙ্গে জয় সর্বশেষ কথা বলেন।
জয়ের চাচাতো ভাই মারুফ হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় জয়ের মা-বাবা তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা বলেন। পরে আমিও তার সাথে কথা বলি। জয় জলদস্যুর কবলে পড়েছে বলে আমাকে জানায় এবং বিষয়টি কাকা-কাকির কাছে গোপন রাখতে বলে। সন্ধ্যা ৬টা ৩৯ মিনিটে জয় হোয়াটসঅ্যাপে জানায়, তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এরপর আর কথা বলা যায়নি।
সন্ধ্যার পরে গণমাধ্যমে খবর প্রচার হলে এলাকাবাসী জলদস্যুর হাতে জয়ের জিম্মি হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে। খবর প্রচারের পর জয়ের বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে। মারুফ হোসেন জানান, ছেলের অমঙ্গলের আশঙ্কায় রাত থেকে একটানা কেঁদেই চলেছেন জয়ের মা আরিফা বেগম।
তিনি বলেন, ‘জয়ের জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি শেষ খবর জানার জন্য।’
জয় মাহমুদরা দুই ভাই-বোন। জয় বড়। ২০২১ সালে তিনি জাহাজে চাকরি নেন। এরপর প্রশিক্ষণ শেষে চার মাস ছুটি কাটিয়ে জাহাজে ফেরেন।
জয়ের মা আরিফা বেগম বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরা যেন সহিসালামতে থাকে। তাকে আমার বুকে ফিরিয়ে দাও মাবুদ।’
জয় মাহমুদের বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলেসহ জিম্মি হওয়া সবাইকে দ্রুত উদ্ধার করা হোক, সরকারের কাছে এটাই আমার আবেদন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়ার খবরে এলাকার মানুষ অজানা আশঙ্কায় সময় কাটাচ্ছেন। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই, আটকা পড়াদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয়।