পটুয়াখালীতে গানে গানে লালন স্মরণে ভক্ত শ্রোতার সমাগম।

মোঃ মেহেদী হাসান (বাচ্চু)পটুয়াখালীঃ

মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’- এই বাণীকে সামনে নিয়ে পটুয়াখালীতে গানে গানে লালনকে স্মরণ করেছে দখিনের কবিয়াল।
গতকাল বিকেলে ঝাউতলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
দখিনের কবিয়ালের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাহাংগীর হোসাইন মানিকের তত্বাবধানে এবং সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ কাওসার ইবু পরিচালনায় এসময় উপস্থিত জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খান, দখিনের কবিয়াল পরিবারের সহ সভাপতি কাজী দেলওয়ার হোসেন, আসমত আলী খান কলেজের অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান খান, ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন, শিল্পি ইদ্রিস মোল্লা, মানিক পাল, দেবদুলাল সমাদ্দার, সাংবাদিক বিলাস দাস, তরুণ সংগঠক ও সাংবাদিক জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য।
দখিনের কবিয়ালের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাহাংগীর হোসাইন মানিক বলেন: মানুষের সাথে মানুষের যে ভেদাভেদ, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি সহ জাতের যে বিভেদ রয়েছে সেই সকল বিভেদ ভুলে আমরা যাতে মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকি তারই প্রত্যাশায় আজকের আয়োজন।
দখিনের কবিয়াল পটুয়াখালী জেলার একটি অন্যতম শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র। যা দীর্ঘ এক যুগ ধরে চলে আসছে।
বক্তারা বলেন, বাউল সাধক ফকির লালন ছিলেন আধ্যাত্মিক দর্শন ও ভাবজগতের শিরোমণি। ফকির লালন সাঁইজি একাধারে গীতিকার, সুরকার, গায়ক, বাউল সম্প্রদায়ের গুরু, ধর্ম বর্ণ গোত্র সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে মানবতাবাদী মনীষী ও লৌকিক ধর্মাচার প্রতিষ্ঠার অন্যতম পুরোধা। তার গানের বাণীগুলো দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও গবেষণার ক্ষেত্রে বিস্তৃত। লালন শুধু বাংলাদেশ বা ভারতবর্ষ নয়গোটা বিশ্বের গবেষকদের কাছে আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর প্রথম সারির অন্তত তিন ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে লালনকে নিয়ে গবেষণা চলছে।